মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
বিডিনিউজ : ঢাকার বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।
শনিবার সকাল ১১টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে জানাজার পর সাহারা খাতুনকে দাফন করা হয় বলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানিয়েছেন।
বনানীতে জানাজা শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকায় মোড়া কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকও লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় সাহারা খাতুনের কফিনে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নানক বলেন, “সাহারা খাতুনকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ এবং দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, যা পূরণ হবার নয়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল সাহারা আপার।
“দেশের মানুষ, আওয়ামী লীগ হারিয়েছে দেশপ্রেমিক, সততার উজ্জল দৃষ্টান্ত। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারিয়েছেন বিশ্বস্ত হাতিয়ার।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “সত্তরের গণ আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এই সহযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করেগেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।
“বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ বহু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মামলা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তিনি ছিলেন অবিচল।”
সাহারা খাতুন
নানা জটিলতা নিয়ে অসুস্থ সাহারা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার ব্যাংককে নেওয়া হয়েছিল, ভর্তি করা হয়েছিল বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাতে তার মরদেহ ঢাকায় আসে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকারে তিন বছরের বেশি সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply